ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে অগ্নি-৫ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের দুটি বাঙ্কার বাস্টার সংস্করণ তৈরির কাজ শুরু করেছে। এই নতুন সংস্করণগুলো তৈরি করছে দেশটির প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)।

অগ্নি-৫ মাটির ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীরে গিয়ে কংক্রিটের আস্তরণ ভেদ করতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

সাড়ে সাত হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করে নিয়ে যেতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর দুটি সংস্করণ থাকবে౼একটি আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সাড়ে সাত হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক নিয়ে বাঙ্কার বাস্টারের কাজ করবে। এটা সুপারসনিক গতিতে যাবে। অন্যটি পাঁচ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারবে।

গত ২২ জুন ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (এমওপি) বোমা ব্যবহারের পর ভারত এদিকে নজর দিয়েছে। আধুনিক যুদ্ধকৌশল ও বিশ্বব্যাপী পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ক্রমবর্ধমান কৌশলগত প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে ভারত শক্তিশালী অপারমাণবিক বাঙ্কার বাস্টার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এটি দেশটির আন্তঃমহাদেশীয় অগ্নি-৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে সমৃদ্ধ করবে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা একটা ডেটারেন্ট হিসেবে কাজ করবে। যে কোনো দেশের মাসল পাওয়ার বাড়ানোর দরকার হয়। কোনো সন্দেহ নেই, ভারতের সামরিক বাহিনীর কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অস্ত্র মাটির গভীরে চলে যেতে পারে। কয়েকটা পর্যায়ে এর ডেটোনেশন হয়। প্রথমে ওপরে হয়, তারপর ভেতরে ঢুকে বারবার তা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এটা নির্দিষ্ট একটি কোণে রাখতে পারলে টার্গেটে সবচেয়ে ভয়ংকর আঘাত করতে পারে। তাই এই অ্যাঙ্গেল বা কোণটা খুবই জরুরি।’

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version