আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরান যদি শান্তিপূর্ণ আচরণ করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার পথ বেছে নেয়, তাহলে তাদের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার ফক্স নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, “যদি তারা (ইরান) শান্তিপূর্ণভাবে আচরণ করে, আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং আর কোনো ক্ষতিকর কাজ না করে— তাহলে আমি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করবো।”

তিনি আরও বলেন, কঠোরতা বা হুমকির বদলে সদয় ও শান্তিপূর্ণ আচরণেই লক্ষ্য অর্জন করা বেশি কার্যকর। ট্রাম্পের মতে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইরানের জন্য “একটি বড় পরিবর্তন” নিয়ে আসতে পারে।

তবে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার আগেই ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দেন। ট্রাম্প দাবি করেন, “আমরা খুব একটা আগাম সতর্কবার্তা দিইনি। তাই তারা (ইরান) ইউরেনিয়াম সরাতে পারেনি। এটা ভারী ও বিপজ্জনক পদার্থ— মুহূর্তেই সরানো সম্ভব নয়।”

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলায় ইরান “ক্লান্ত” হয়ে পড়েছে এবং বর্তমানে তাদের পক্ষে পরমাণু কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তার ভাষায়, “আগামী কিছু সময়ের জন্য, তারা পরমাণু নিয়ে আর কিছু করবে না। তারা এখন আর আগের অবস্থায় নেই।”

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম চুক্তিতে আরও কয়েকটি দেশ শিগগিরই যুক্ত হবে। যদিও তিনি নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে দেশটির বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যদিও ইরান সবসময়ই দাবি করে এসেছে, তাদের পরমাণু কার্যক্রম শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

পলিটিক্স/মি

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version