বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শিশু হারানো পরিবারগুলো এবং দগ্ধ ব্যক্তিরা যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন রাষ্ট্রের তাদের পাশে থাকা উচিত। মানুষের চোখ নয়, মানুষের হৃদয় কাঁদিয়েছে গতকালের ঘটনা। এর জন্য কারা দায়ী, সেটা সরকার খুঁজে বের করবে বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যেন আর কোনো স্বপ্ন অকালে থেমে না যায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রইল।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য যুবদলের রক্তদান কর্মসূচিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
রিজভী বলেন, সবাই যদি দায়িত্বশীল ও যত্নবান হতো এবং দায়িত্বে অবহেলা না করতো, তবে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্য, যা সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমানের প্রশিক্ষণ কেন দেওয়া হচ্ছে, বিমানে কোনো ত্রুটি বা বিচ্যুতি ছিল কি না, এবং পুরোনো বিমানকে কেন অনুমতি দেওয়া হলো—এসব প্রশ্ন মানুষের মনে গভীরভাবে থেকে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত টিম করে আসল সত্য খুঁজে বের করা। দুর্ঘটনা বলে-কয়ে আসে না এটা সত্য, কিন্তু কোনো পরিকল্পিত ঘটনাকে যেন দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়া না হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আরও কতদিন এভাবে নিরপরাধ শিশু ও আলোকপিপাসু বাচ্চারা অকালে ঝরে যাবে? এখন এই শিশুদের বাবা-মায়েরা কেমন আছেন, তা জানা নেই। আগুনে দগ্ধ হয়ে যাঁরা কাতরাচ্ছেন, সমাজ ও রাষ্ট্র কতটা তাদের পাশে থাকবে—এটাই সবার বড় প্রশ্ন।