জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আগামী ১০ জুলাই আদেশ দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৭ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার-এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালতে পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এর আগে ১ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছিল ট্রাইব্যুনাল। সেই ধারাবাহিকতায় ১০ জুলাই আদেশ আসতে যাচ্ছে।
গত ১৬ জুন ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেয়, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে এক সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে হবে—এ মর্মে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। ২৪ জুন ছিল পরবর্তী শুনানির দিন। পরদিন ১৭ জুন তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে ট্রাইব্যুনাল থেকে নোটিশ জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে কেউ হাজির না হলে অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে বলে জানানো হয়েছে।
মামলার আরেক আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ওই দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
গত ১ জুন ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয়। একইসঙ্গে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। আদালতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ছাড়াও শুনানি করেন প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুল ইসলাম।
এর আগে ১২ মে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যেখানে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে তার নাম উঠে আসে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালত ২০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র ও জনতার ওপর গুলিবর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনের নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনাসহ মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চলছে বিচারিক কার্যক্রম। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় গণআন্দোলন ঠেকাতে প্রায় দেড় হাজার মানুষ হত্যা করে।
পলিটিক্স/মি