বাংলাদেশ আজ শোকাহত। মাইলস্টোন কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। তাদেরই একজন, শিক্ষক মেহরিন চৌধুরী—যিনি নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করেছেন প্রায় ২০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থীকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের লেলিহান শিখা যখন ক্লাসরুমের দিকে ধেয়ে আসছিল, তখন শিক্ষার্থীদের সাহস জুগিয়ে মেহরিন আপা বলছিলেন— “দৌড়াও সামনের দিকে। পেছনে তাকিও না। আমি আছি!”

এই মা দুজন সন্তানের জননী ছিলেন। কিন্তু শতভাগ মমতা দিয়ে আগলে রাখার চেষ্টা করেছেন স্কুলের প্রতিটি শিশুকেও।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, গর্বভরে তিনি বলছেন— “তারেক রহমান আমার ভাই, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমার চাচা।” তিনি ছিলেন জিয়াউর রহমানের ভাতিজি।

অবাক করার মতো বিষয়, মৃত্যুর আগে পর্যন্তও কেউ জানতো না মেহরিন আপার এই রাজনৈতিক ও পারিবারিক পরিচয়।

তিনি ছিলেন সেই নিঃস্বার্থ মানুষ, যিনি খালেদা জিয়া কারাগারে থাকাকালীন নিজ হাতে খাবার পৌঁছে দিতেন।
জুলাই আন্দোলনের সময় রেখেছিলেন নিরব কিন্তু সাহসী ভূমিকা।

কিন্তু কখনো রাজনৈতিক পরিচয়ে সুবিধা নেননি। ৫ই আগস্টের পরেও ফিরে গিয়েছিলেন নিজ পেশায়—শিক্ষাদানে।

এই নারী শুধু একজন শিক্ষক নন, ছিলেন এক জীবন্ত আদর্শ। তার আত্মত্যাগ আজ নতুন করে প্রশ্ন তোলে—নীরবে কাজ করাই কি প্রকৃত দেশপ্রেম নয়?

আমরা দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে শহীদের মর্যাদা দেন। তার দুই সন্তান ও পরিবার যেন এই অপূরণীয় শোক সইবার শক্তি পান।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version