ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় একটি খাদ্য কেন্দ্র চালুর ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রের নির্মাণ, তত্ত্বাবধান ও খাদ্য বিতরণের পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে আজ সোমবার স্কটল্যান্ডে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “খুব শিগগিরই গাজায় একটি খাদ্য কেন্দ্র চালু করছি। এর নির্মাণ, তত্ত্বাবধান এবং গাজার জনগণের মধ্যে খাদ্য বিতরণের পুরো দায়িত্বে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। এটি একটি উন্মুক্ত খাদ্য কেন্দ্র হবে, যেখানে গাজার বাসিন্দারা যে কেউ, যখন প্রয়োজন মনে করবেন—সেখান থেকে বিনা বাধায় খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।”
“আমরা গাজায় খাদ্য সহায়তা বাবদ ৬ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছি। আমরা মনে করি এই মুহূর্তে গাজার লোকজনদের খাবারের নিশ্চয়তা সবচেয়ে জরুরি; কারণ প্রচুর মানুষ সেখানে না খেয়ে আছে। গাজার এই ক্ষুধা সংকট দূর করতে আমি অন্যান্য দেশকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, আজ সোমবার ট্রাম্প প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ট্রাম্প স্বীকার করেছেন যে গাজা তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগছে। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, “কিছুদিন আগে টেলিভিশন সংবাদে আমি গাজার একদল শিশুকে দেখলাম। তাদের খুবই ক্ষুধার্ত দেখাচ্ছিল। গাজায় সত্যিকারের ক্ষুধা সংকট শুরু হয়েছে এবং আপনি একে কোনোভাবেই ভুয়া বলে উড়িয়ে দিতে পারবেন না।”
“সবচেয়ে বড় কথা হলো— এটা (গাজায় সংঘাত) এখন শেষ হওয়া উচিত। হামাসকে শেষ করার জন্য ইসরায়েল আরও কঠোর লড়াই করতে পারে, তবে গাজা এখন ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও নিরাপত্তা এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি”, সাংবাদিকদের বলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন স্টারমারও। সাংবাদিকদের ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গাজায় যা চলছে, তা সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট সংকট এবং এটি এখন আর শুধু সংকটের জায়গায় নেই— ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে। এটা এতটাই ভয়াবহ যে গাজার সত্যিকারের চিত্র যদি ব্রিটেনের লোকজন দেখে, তাহলে তারা পুরোপুরি অস্থির হয়ে যাবে।”
সূত্র : জিও টিভি