ডাকসু, জাকসু ও রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছে, এসব নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিযোগিতামূলকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, “গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্রসমাজের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ও প্রশংসনীয়।”

তারা জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু, ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু এবং ১৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারা আশাবাদী, এসব নির্বাচন নিয়মতান্ত্রিক ধারায় ফিরে এসে নতুন নেতৃত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নেতারা বলেন, জাতীয় নেতৃত্ব গঠনের অন্যতম প্ল্যাটফর্মগুলো দীর্ঘদিন রাজনৈতিক স্বার্থে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্রসমাজের চাপে প্রশাসন এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তবে তারা আরও বলেন, শুধুমাত্র তফসিল ঘোষণা যথেষ্ট নয়—এই প্রক্রিয়াকে সফল করতে প্রয়োজন হবে:

স্বচ্ছ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন

ছাত্রসংগঠনগুলোর সদিচ্ছা

প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা

নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড

ছাত্রশিবির নেতারা মনে করেন, এই নির্বাচন হতে পারে সহিংসতা ও দমন-পীড়ন থেকে ছাত্ররাজনীতিকে মুক্ত করে গঠনমূলক ধারায় ফেরানোর বড় সুযোগ।

তারা বলেন, “ছাত্রসমাজের অধিকার আদায়ে এখন সময় আদর্শ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার। এজন্য প্রয়োজন একটি শান্তিপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। আমরা চাই, প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করুক, আর প্রতিটি সংগঠন তাদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করুক।”

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version