টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ রিয়া গঙ্গোপাধ্যায় এখন বাস্তব জীবনেই এক হৃদয়বিদারক লড়াইয়ের মুখোমুখি। পরকীয়া-কাণ্ডে জর্জরিত এই অভিনেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন—প্রয়োজনে নিজের কিডনি বিক্রি করেও তিনি স্বামী ও তার প্রেমিকার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
গত বছর থেকেই স্বামী অরিন্দম চক্রবর্তীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ চলছিল রিয়ার। সম্প্রতি, স্বামীর পরকীয়া নিজেই হাতেনাতে ধরেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেই নারী কে তাও প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী। এরপরই রিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকে দিয়েছেন সেই নারী।
রিয়া জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে সন্তানের মুখ চেয়ে সব মেনে চলছিলেন। কিন্তু এবার আর চুপ থাকতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে সমস্ত ঘটনা ফাঁস করেছেন তিনি। অভিযোগ, স্বামী তার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়েছেন, রিয়ার বাবা-মাকে অপমান করেছেন, এমনকি তাকে চোর বলেও অপবাদ দিয়েছেন।
রিয়ার দাবি, সেই নারী নিজেও বিবাহিত এবং এ নিয়ে তার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সোমবার একটি লাইভে এসে তিনি সেই মহিলার স্বামীর সঙ্গে ফোনালাপ প্রকাশ্যে আনেন, যেখানে স্পষ্ট বোঝা যায়, স্বামী বিষয়টি জানেন কিন্তু স্ত্রীর ভয়ে চুপ ছিলেন এতদিন।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সম্পত্তি ও অর্থের লোভেই এই পরকীয়ার সূত্রপাত। অথচ বিচ্ছেদ চাইলে তিনি কোনোদিনই স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ চাননি। সন্তানদের মানুষ করতে নিজের রোজগারই যথেষ্ট বলেই ভেবেছিলেন।
সব মিটে যাওয়ার পরেও হঠাৎ শ্বশুরবাড়িতে গিয়েই তিনি ফের ধাক্কা খান। স্বামীর পরকীয়ার প্রমাণসহ ওই নারীর বাড়িতে যাতায়াতের প্রমাণও রয়েছে তার কাছে।
রিয়া এখন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—এই যুদ্ধে তিনি মাথা নত করবেন না। বলছেন, “আমার বাবা সরকারি চাকরিতে নেই। আমি নিজেও টলিউডে অনিশ্চিত কাজ করি। তবুও লড়ব। দরকার হলে নিজের কিডনি বিক্রি করব, তাও থামব না।”
উল্লেখ্য, টলিউডের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খানের সঙ্গেও বড় পর্দায় কাজ করেছেন রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়। অথচ এখন কাজের অভাব, আর ব্যক্তিগত সংকট—দুই মিলে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত এই অভিনেত্রী।
প্রেমের বিশ্বাসঘাতকতা যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, রিয়া হয়তো আজ তার জ্যান্ত উদাহরণ। তবে তিনি যে ভাঙবেন না, লড়বেন, তা আগুনের মতো স্পষ্ট করে দিয়েছেন সবাইকে।