আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই হতে পারে অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ হুমকি—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

শনিবার (২৬ জুলাই) খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, “এআই এখন একটি আধুনিক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো কিছু দেখলেই শেয়ার করা ঠিক নয়। যাচাই-বাছাই না করে তথ্য ছড়ানো বিপজ্জনক। অপপ্রচার ঠেকাতে মিডিয়ার দায়িত্ব অনেক বড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে আপনাদের সহযোগিতা চাই।”

তিনি জানান, আগাম নির্বাচন সামনে রেখে বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জনগণের আস্থা ফেরানো। অনেকেই ভোটে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। সিইসি বলেন, “মানুষ ভাবে আমি ভোট দিলেও হবে, না দিলেও হবে—এই মানসিকতা ভাঙতে হবে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো ‘রাতের ভোট’ চাই না। দিনের আলোয় স্বচ্ছ নির্বাচন চাই, যাতে মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে।”

প্রযুক্তি-নির্ভর হস্তক্ষেপ ঠেকাতেও সতর্ক রয়েছে কমিশন। এআই-নির্ভর ভুয়া তথ্য ছড়ানো, গুজব, ভোটার বিভ্রান্তি—এসব দমনেই মিডিয়া ও প্রশাসনের সমন্বয় দরকার বলে জানান সিইসি।

সিইসি জানান, নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস দমন ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চলবে, যাতে ভোটের দিন সহিংসতা না ঘটে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।

ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সময়মতো ভোট আয়োজনের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলছে।

উক্ত সভায় খুলনা বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বেনজীর আহম্মেদসহ অন্যান্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version