ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার ছয়জন মুসলিম শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আটককৃতরা সবাই মালদার বাসিন্দা ও ভাসমান শ্রমিক হিসেবে গত সাত-আট বছর ধরে গুরুগ্রামে কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছে ‘পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ’।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আসিফ ফারুক জানান, গুরুগ্রাম পুলিশ তাদের আটকের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তিনি বলেন, “আমি রোববার বাদশাহপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনারকে ফোন করি। তিনি জানান, ছয়জনকে আটক করা হয়েছে তবে গ্রেপ্তার করা হয়নি।”
এ নিয়ে মালদা জেলার যুগ্ম শ্রম কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগও দাখিল করা হয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসে এমন একদিনে, যেদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কলকাতার একটি সমাবেশে বাংলাভাষীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন।
তিনি বলেন, “বাংলায় কথা বললেই বিভিন্ন রাজ্যে মানুষকে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে হেনস্থা করা হচ্ছে। অনেককে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
মমতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “বাংলা ভাষার ওপর যদি এমন সন্ত্রাস চলে, তাহলে এই লড়াই হবে দিল্লির বুকে। আমি কিন্তু ছাড়ার লোক নই। দরকার হলে আবার ভাষা আন্দোলন শুরু হবে।”
তিনি আরও বলেন, সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের কথা যেন না ভুলে যায় কেউ।
গত কয়েক মাসে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও ওড়িশায় বাংলাভাষীদের ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করা হয়েছে।
অনেককে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়েছে। যদিও তাদের অনেকেই প্রকৃত বাংলাদেশি নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক। আবার কিছু ক্ষেত্রে সত্যিকারের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোও হয়েছে।