রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও অন্তত ১৭১ জন।

সোমবার দুপুর ১টার পর উত্তরায় বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।

এদিকে স্কুল শিক্ষার্থীদের এমন মৃত্যুর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে শোকের মাতম। যার রেশ ছুঁয়ে গেছে তারকাদের মাঝেও। 

অভিনেতা ও মডেল সালমান মুক্তাদির এমন দুর্ঘটনায় নিজের ক্ষোভ, হতাশা উগরে দিয়েছেন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি চুপ করে থাকার জন্য। আমার সবকিছু বুকে চেপে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এই দেশ নিজের মানুষদের দ্বারাই অভিশপ্ত।

‘আর আমি বারবার বলে যাচ্ছি, আমরা যে মৃত্যু পাই, সেটাই আমাদের প্রাপ্য। হোক সেটা আমাদের উপর ভবন ভেঙে পড়া, ট্রাক আমাদের উপর দিয়ে চলে যাওয়া, বাস আমাদের মাথা থেঁতলে দেওয়া, কনস্ট্রাকশনের গাড়ি আমাদের উপর কংক্রিট ফেলে দেওয়া, স্কুলের উপর ‘প্রশিক্ষণ’ বিমান ভেঙে পড়া, কিংবা ত্রুটিপূর্ণ প্যারাশুট বা বিমানে পাইলটদের মৃত্যু– আমরা সবাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতিই প্রাপ্য।’

হতাশার কণ্ঠে সালমান আরও বলেন, আমরা প্রতিদিন সবকিছু এড়িয়ে যাই, কারণ এসব আমাদের সাথে হয় না। কিন্তু যখন হয়, তখন আমরা কাঁদি, আফসোস করি। তারপর আবার এগিয়ে যাই। আমরা যে মৃত্যু পাই, সেটাই প্রাপ্য, কারণ আমরা এই দেশকে এভাবে চলতে দেই। যখন কেউ কথা বলে না, আর হাতে গোনা অল্প কিছু মানুষ যারা মুখ খোলে, তারাও উপেক্ষায় ক্লান্ত হয়ে পড়ে– তখন এটা আস্তে আস্তে এক ধরনের চক্রে পরিণত হয়। এক অভিশপ্ত চক্রে।

‘তাই বসে থাকো, কেঁদে নাও, আর আশা করো জাদুর মতো সব ঠিক হয়ে যাবে। ভেতর থেকে মরে যাচ্ছি এটা দেখে যে একটিও মানুষ নেই যে বলবে, “এবার শেষ”, “এবার ঠিক করার সময় এসেছে।” একজনও নেই।’

সবশেষ সালমান লিখেছেন, আজ যা ঘটেছে, খুব সহজেই এড়ানো যেত।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version