রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। একের পর এক দগ্ধ শিশু শিক্ষার্থীকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হচ্ছে, যাদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার ক্লাস চলাকালীন একটি ভবনে বিধ্বস্ত বিমানটি আঘাত হানে। বিমানের দুই পাখা ছিটকে গিয়ে ভবনের দুই পাশে থাকা ক্লাসরুমে আছড়ে পড়ে, আর সামনের অংশটি সিঁড়িতে ধাক্কা দেয়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ভয়াবহতার এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিন আরও দেখা গেছে, ওই দুই রুম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্কুলের দারওয়ান জানান, ওই ভবনে প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস হতো। সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।

এর আগে, দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই(৭০১) মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান এক শিক্ষার্থী। 

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই(৭০১) প্রশিক্ষণ বিমানটি উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। এর ১২ মিনিটের মাথায় ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version