ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দ্বারা পুশ-ইন হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর কারাবন্দী গর্ভবতী ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনসহ ছয়জনকে আদালত জামিন দিয়েছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান।
জেলা কারাগারের কর্মকর্তা জানান, “বর্তমানে সোনালী খাতুন জেল গেইটে তার জামিনদারের অপেক্ষায় আছেন। জামিনদার উপস্থিত হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।” ফারুক হোসেন নামের স্থানীয় একজন ব্যক্তি সোনালী খাতুনের জামিনদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন; তিনি তার আত্মীয়।
সোনালী খাতুনের সঙ্গে পুশ-ইনের শিকার হয়ে কারাবন্দী অন্য পাঁচজনকেও জামিন দেয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে হাজিরা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় তারা এখনই ভারতে ফেরত যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন।
এদিকে, ‘পুশইন’ করে বাংলাদেশে পাঠানো গর্ভবতী নারী সোনালী খাতুনসহ অন্য সবাইকে ভারতে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সোমবার আবারও কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সোনালী খাতুনসহ ছয়জনকে কোনো ধরনের চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই ছাড়াই বাংলাদেশে ‘পুশইন’ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, যে ছয়জন এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কারাগারে আটক রয়েছেন, তাদের মধ্যে দুটি পরিবারের সদস্য রয়েছেন। সোনালী খাতুন, তার স্বামী দানেশ শেখ ও তাদের ছেলে সাবির শেখ পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার পাইকর থানার বাসিন্দা।
অন্য পরিবারটির বাড়ি বীরভূমেরই মুরারই থানা অঞ্চলের ধিতোরা গ্রামে। সেই পরিবারের এক নারী সুইটি বিবি ও দুই ছেলে – ১৬ বছর বয়সী কুরবান শেখ ও ছয় বছরের ইমাম শেখও চাঁপাই নবাবগঞ্জের জেলে আটক রয়েছেন।
তাদের সবাইকে পশ্চিম দিল্লির রোহিনী এলাকার কেএন কাটজু মার্গ থানা ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক করে। এরপর তাদের পশ্চিম দিল্লির ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের সামনে হাজির করানো হয়। ওই দফতরটি বিদেশি ট্রাইব্যুনালের মতো কাজ করে থাকে। সেখান থেকে রায় দেয়া হয় যে, তারা সকলেই বাংলাদেশি এবং তাদের ঠিকানা বাগেরহাট জেলায়। তবে বীরভূমের পুলিশ একাধিক নথি যোগাড় করে নিশ্চিত হয়েছে তারা সবাই ভারতীয়।
