বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, জামায়াত ইসলামী শুরু থেকেই রাজনৈতিক জটিলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় নিম্ন কক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) এজেন্ডাটি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। জামায়াত যখন বুঝতে পারলো যে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকানো যাচ্ছে না, তখনই তারা নিম্ন কক্ষে পিআর-এর আলোচনা নিয়ে আসে। তারা নিম্ন কক্ষে পিআর না হলে ভোটে যাবেন না বলেও হুমকি দেন।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে এসব কথা বলেন রুমিন ফারহানা। তিনি জামায়াতের এই ধরনের আচরণকে ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, জামায়াতের এই যে ব্ল্যাকমেইলিং, কিছু হলে আমরা ভোটে যাব না, নির্বাচন বর্জন করব— এগুলো হচ্ছে অন্য রাজনৈতিক দল ও সরকারকে এক ধরনের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মধ্য দিয়ে নিজের ফায়দা হাসিলের চেষ্টা। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, শুরু থেকেই জামায়াত জটিলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে চলেছে।

গণভোটের প্রক্রিয়া এবং তথ্যের পর্যাপ্ততা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে এর আগে তিনটি গণভোট হয়েছে, যেখানে কেবল ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ এর মাধ্যমে উত্তর দিতে হয়েছে। কিন্তু জুলাই সনদের ৮৪টি ধারার মধ্যে ৫ থেকে ১০টি ধারায় বিএনপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রয়েছে। একইভাবে, জামায়াতেরও ৫ থেকে ১০টি ধারায় ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে।

রুমিন ফারহানা প্রশ্ন করেন, সরকার কি ১১ কোটি ভোটারকে এই সকল নোট অব ডিসেন্টসহ ৮৪টি ধারার তথ্য যথেষ্ট পরিমাণে দিয়েছে? ১১ কোটি ভোটারের পক্ষে এতসব তথ্য বুঝে-শুনে ভোট দেওয়ার কি ক্ষমতা আছে? তিনি মনে করেন, এর জন্য তো ৮৪টি ধারার ক্ষেত্রেই হ্যাঁ বা না রাখার প্রয়োজন হতো, যদিও সেই সুযোগ নেই। তবে তিনি জানান, বিএনপি একটি অ্যাডজাস্টমেন্টে আসার জন্য বলেছে যে, যে দল যেখানে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, সেটাসহ যেন গণভোটে যাওয়া হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version