হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম আবারও বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। সম্প্রতি উপজেলা প্রাঙ্গণে থাকা কলার ছড়ি নিয়ে যাওয়ার পর ‘চুরির আলামত’ গায়েব করার উদ্দেশে এবার কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে তিনি তার দুই সহযোগীকে নিয়ে এই কাজ করেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিরাজুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনের পাশে ওই দুই সহযোগীকে নিয়ে কলাগাছগুলো কেটে ফেলেন। এ সময় সিসিটিভি ফুটেজ যাতে কেউ দেখতে না পায়, সেজন্য ইউএনও অফিসের এক কর্মচারীকে নিষেধও করেন।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, এর আগেও তিনি সরকারি সম্পদ ব্যবহারে বিতর্কিত হয়েছেন। এবার তো একেবারে গাছ কেটে ফেললেন! এটা কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাজ হতে পারে না।
স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষা বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এমন আচরণ অনৈতিক এবং প্রশাসনের উচিত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কলাগাছ কাটা হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে। কোনো আলামত গায়েব করার উদ্দেশে এটা করা হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাশেম বলেন, সরকারি দপ্তরের ভেতরে থাকা কলাগাছ তিনি এভাবে কাটতে পারেন না। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।
এর আগে, এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুমতিবিহীনভাবে মসজিদের ৫০টি নারিকেল ও কলা সংগ্রহের অভিযোগও উঠেছিল, যা স্থানীয় প্রশাসনসহ সহকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
