৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে গেছেন কিংবা দেশ ছাড়ছেন। একই পরিস্থিতি দেখা গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগ দলীয় হুইপ ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্ষেত্রেও। তিনি এখনও দেশে অবস্থান করছেন, তবে জনসম্মুখে দেখা দিচ্ছেন না।

তবে এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানালেন, তার ধারণা মাশরাফি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

সাকিব আল হাসানের প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, তাকে (সাকিবকে) দেশে খেলতে দেওয়ার বিষয়ে সহায়তা করার সুযোগ এখন আর নেই। এখনো শেখ হাসিনাকে সমর্থনই তার মূল কারণ।

তিনি আরও বলেন, সাকিবের শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, ফিন্যানশিয়াল ফ্রডের মামলা, এমনকি তার পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যামামলার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে বিষয়গুলো সামনে এসেছে। আমরা কাউকে টার্গেট করে তুলি নাই বরং তার নিজস্ব কর্মকাণ্ডের কারণেই আলোচনা তৈরি হয়েছে।

সেই প্রসঙ্গেই উঠে আসে মাশরাফির নাম। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, মাশরাফি বিন মুর্তজার বিষয়ে এমন কিছু আমি জানি না। আমার জানামতে, উনি তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকেও সরে এসেছেন। ফেসবুকে উনি বিষয়টা স্পষ্ট করেছিলেন বলে আমার মনে পড়ে।

তবে যাচাই করে দেখা গেছে, মাশরাফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি এমন কোনো মন্তব্য করেননি। তবে গত বছরের আগস্টে এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজনীতি থেকে সরে আসার। তখন মাশরাফি বলেছিলেন, যখন রাজনীতিতে ছিলাম, ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে নেই, এখন যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা থাকতে চাই, তাহলে কেমন হয়ে যায় না!

এ বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয় রাজনীতি তার অতীত অধ্যায়। গত এক বছরে মাশরাফি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে বিভিন্ন বিষয়ে ১৪টি পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু কোনোটিই আওয়ামী লীগ বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত নয়। বিপরীতে সাকিব আল হাসান একাধিকবার আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে পোস্ট দিয়েছেন। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্র্যান্ডিং নিয়েও সমালোচিত হয়েছেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version