যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের পর হামাসকে নিরস্ত্রিকরণে বাধ্য করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি হামাস নিজেরা অস্ত্র সমর্পণ না করে তবে যুক্তরাষ্ট্র ও প্রাসঙ্গিক পক্ষ তাদেরকে নিরস্ত্র করাবে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, হামাস অস্ত্র সমর্পণ করবে। কারণ তারা বলেছে যে করবে। আর যদি না করে, আমরা তাদের অস্ত্রমুক্ত করব। এটি দ্রুত এবং সম্ভবত কঠোরভাবে ঘটবে।

তবে অস্ত্রসমর্পণে কারা জড়িত থাকবেন বা এতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা থাকবে কিনা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে।

নেতানিয়াহু বলেন, পরিকল্পনার শর্তগুলো খুব স্পষ্ট। শুধু বন্দিদের মুক্তি নয় হামাসকে তাদের অস্ত্র ছাড়তে হবে। দ্বিতীয়ত, গাজায় কোনো অস্ত্র কারখানা নেই তা নিশ্চিত করতে হবে; কোনো অস্ত্র সরবরাহ গোপনে আসছে না তাও নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আরও বলেন, যদি তা না হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘তাদের অবশ্যই এটা করতে হবে, নাহলে সব কিছুই ভয়াবহভাবে ঘটবে।’

ট্রাম্পের পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ অনুসারে হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে, কিন্তু ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এটি মানতে এখনো রাজি নয়। এ বিষয়ে এরি মধ্যে নিরস্ত্রকরণ কোনো ভাবেই সম্ভব না বলে মন্তব্য করে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা। হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এ দুটি বিষয়কে গাজায় স্থায়ী শান্তির পথে অন্যতম বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সুত্র : দ্য নিউ আরব/আল-জাজির

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version