ভ্রাম্যমাণ টয়লেট পরিচালনা শেখার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের তিন কর্মকর্তা। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত এক সরকারি আদেশে এ সফরের অনুমতি দেওয়া হয়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর জারি করা ওই আদেশ অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফারুক হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রোকৌশলী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং উপসহকারী প্রোকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ৭ দিনের জন্য চীন সফরে যাচ্ছেন।

এ সফরের সব ব্যয় বহন করবে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান Shangdong Qyuanbai Intelligent Manufacturing Company Ltd. তবে, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নির্দেশ দিয়ে আসছে—কোনো ঠিকাদার বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে না।

কিন্তু প্রশিক্ষণের নামে এ ধরনের বিদেশ সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ে বিদেশ ভ্রমণ অনৈতিক এবং এতে স্বার্থসংঘাত তৈরি হয়।

বিগত সময়েও এমন ঘটনা নতুন নয়। বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, ইআরডি, আইএমইডি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রায় ৩৫ কর্মকর্তা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ সফর করেছেন। সাধারণত নতুন যন্ত্রপাতি বা স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টের প্রশিক্ষণের নামেই এসব ভ্রমণ অনুমোদিত হয়।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন— “সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ কমাতে নির্দেশনা থাকলেও এর ব্যত্যয় হচ্ছে। এতে কর্মকর্তাদের ওপর প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য তৈরি হয়, যা মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।”

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আরও বলেন— “বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্দেশনা বাধ্যতামূলক। এর ব্যত্যয় হলে তা চাকরিবিধির পরিপন্থী।”

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version