বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, “পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) ব্যবস্থা নিয়ে আন্দোলনের নামে নির্বাচন নস্যাৎ, গণতন্ত্র ব্যাহত এবং দেশকে মহাবিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এই সুযোগে অতীতে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদী শক্তি ফিরে এসে আবারও বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা চালাতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “অহেতুক আন্দোলনের নামে বিভাজন, উত্তেজনা ও অস্থিরতা তৈরি করা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। যেসব দাবির পেছনে জনসমর্থন নেই, তাতে জনগণ কখনও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্পৃক্ত হয় না।”
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার জুগলি ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রিন্স বলেন, ‘পিআর নিয়ে জমায়াত নিজেরাই আন্তরিক নয়। মাসের পর মাস চলা ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াত নেতারা একবারের জন্যও সংসদের নিম্ন কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের প্রস্তাব উত্থাপন করেনি। তাছাড়া আলোচনার টেবিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছার আগেই রাজপথের কর্মসূচি দুরভিসন্ধিমূলক।
তিনি বলেন, ‘জনগণ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা মেনে নেবে না। দেশকে মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন হবে।’
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থেকে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ঘরে ঘরে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সালাম পৌঁছে দিয়ে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ধানের শীষে দিলে ভোট, শান্তি পাবে দেশের লোক।ধানের শীষে ভোট দিলে, দেশ গড়ব মিলেমিশে।’
তিনি বলেন, ‘একটি দলে নির্বাচন করার জন্য একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকতেই পরে। আমাদের ময়মনসিংহ-১ আসনেও রয়েছেন। কিন্তু দল সবদিক বিবেচনা করে একজনকেই মনোনয়ন দেবে, এটাই স্বাভাবিক।’
যাঁর হাতে দল ধানের শীষ প্রতীক তুলে দিয়ে মনোনয়ন দেবে, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁকে নির্বাচিত করতে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনিও তা-ই করবেন।
দলের প্রতি আন্তরিকতা, মমত্ববোধ ও আনুগত্য থাকলে অন্যদেরকেও একই কাজ করতে হবে। তিনি দেশ ও জনকল্যাণে তারেক রহমানের গণমুখী কর্মসূচি জনগণের সামনে তুলে ধরতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে সব ধরনের সালিশ, বিচার এবং জনগণের ক্ষতি হয় বা জনগণ পছন্দ করে না, এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করলে বিএনপিতে তার স্থান হবে না, সে যত বড় ত্যাগী বা জনপ্রিয় হোক না কেন।
জুগলি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ক্বারী আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অব্দুল জলিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, সদস্যসচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীর, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মেহেবুবুর রহমান মুকুল, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব কৃষক আব্দুস সাত্তার, বিএনপি নেতা প্রভাষক শাজাহান মাহমুদ, আল আমিন চমক, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুকতাদির আহসান, শওকত আলী, নিজাম উদ্দিন, আবু তালেব, শহীদুল ইসলাম, আকতার মেম্বার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
