অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেছেন, জুলাই ও একাত্তর একই চেতনার সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মাধ্যমে আমরা যেমন স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি, তেমনি এখন লক্ষ্য একটি সুসংগঠিত রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলা। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সংবিধানের স্বপ্ন দেখি—যেখানে কোনো মা-বোনকে স্বামী-সন্তানের জন্য রাতভর অপেক্ষা করতে হবে না, তাহাজ্জুদের নামাজে বসে কাঁদতে হবে না, কিংবা কোনো কার্টুনিস্টকে জেলে মারা যেতে হবে না। মানুষ গর্বের সঙ্গে বলতে পারবে—এক বছরে একটি গুমও ঘটেনি।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক পুনর্গঠন: তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ সেমিনারে এসব কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ৩০ হাজার মানুষকে গুম করেছে। আমরা এ অপরাধের বিচার করতে যাচ্ছি। এ অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় যারাই অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায়, আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দিব এ নীতি প্রতিষ্ঠায় যত বাধা বিপত্তি আসুক সব মোকাবিলা করবো। জুলাইয়ে শহীদদের রক্তের দাম অবশ্যই রাখা হবে। আমরা সাংবিধানিকভাবে এমন একটি জায়গায় যেতে চাই যেখানে সব শহীদের রক্তের মূল্য দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি জুলাই চেতনাকে ধারণ করার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৫ শতাধিক মানুষ শহীদ হয়েছে, ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ববরণ করেছে এবং গত ১৭ বছরে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নির্বিচারে শহীদ হয়েছে। ৬০ লাখ মানুষ বিনাদোষে রাজনৈতিক মামলার স্বীকার হয়েছে যার ৯৯ শতাংশ মামলার বাদী ছিল পুলিশ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version