স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিস্ময়কর গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সাময়িকভাবে বিরত থাকলে মানুষের মানসিক শান্তি ও সুখের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
গবেষণাটিতে যুক্ত ছিলেন প্রায় ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারী, যাদের প্রত্যেককে আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে এক মাসের জন্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিরত রাখা হয়।
এই এক মাস শেষে গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর একটি সমীক্ষা চালান। ফলাফল ছিল চমকপ্রদ—সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকা ব্যক্তিরা আরও বেশি প্রশান্ত, সুখী ও মানসিক চাপমুক্ত ছিলেন।
গবেষণায় আরও বলা হয়, এসব প্ল্যাটফর্মের এলগরিদম এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে ব্যবহারকারীদের দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রাখা যায়। ব্যবহারকারীর আগ্রহ ও আচরণ অনুযায়ী কন্টেন্ট সাজিয়ে, তা পুনঃপুন প্রস্তাব করে তাদের মনোযোগ ধরে রাখে এবং এমনকি যখন কেউ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার না করলেও, তাদের মনকে সেটার প্রতি আকৃষ্ট করে রাখার জন্য কৌশল প্রয়োগ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির এই অতিরিক্ত নির্ভরতা মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। তাই সময়বিশেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিরতি নেওয়া হতে পারে মানসিক সুস্থতার জন্য কার্যকর একটি পদক্ষেপ।
এই গবেষণার আলোকে মনোবিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিচ্ছেন—নিজের মানসিক প্রশান্তির জন্য অন্তত মাসে একবার হলেও সামাজিক মাধ্যম থেকে ছুটি নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।