রাজধানী ঢাকায় মধ্যরাতের ঘুমন্ত শহর যেন রূপ নেয় প্রাণঘাতী সড়কে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক দুই দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৫ জনের।

শনিবার (২৮ জুন) দিনগত রাত ৩টার দিকে উত্তরা আজমপুর মোড়ে ঘটে হৃদয়বিদারক এক দুর্ঘটনা। ময়মনসিংহ থেকে আসা একটি পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের ওপর উঠে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুইজন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও একজন।

নিহতরা হলেন—জাবেদ আলম খান (৫৫), তার ভাগনে নাইমুল হক (৩২) ও অমিত (২৩)। অমিত আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। নাইমুল হক চাকরি করতেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। তারা সবাই খিলক্ষেত এলাকায় বাস করতেন এবং সেদিন রাতেই এক আত্মীয়কে দেখে বাসায় ফিরছিলেন।

রোববার (২৯ জুন) সকালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং চালককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

একই রাতে আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বিজয় সরণি ও জাহাঙ্গীর গেইটের মধ্যবর্তী এলাকায়। সেখানেও রাত ৩টার দিকে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী নিহত হন।

কাফরুল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মোটরসাইকেলটি জাহাঙ্গীর গেইটের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে একটি মাইক্রোবাস ঘুরতে গিয়ে তাদের চাপা দেয়। দুর্ঘটনার পরপরই চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।

এক রাতেই রাজধানীর দুটি সড়কে প্রাণ হারালেন ৫ জন। পরিবারগুলোতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, আর শহরের বুকে উঠেছে প্রশ্ন—কবে থামবে এই প্রাণহানি?

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version