শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে ইতোমধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে ছিল লঙ্কানরা। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মিরাজ-রিশাদদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।

ডাম্বুলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করেছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। জবাব দিতে নেমে ১৫.২ ওভারে ৯৪ রানেই অলআউট হলো লঙ্কানরা।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন কুশল মেন্ডিস। তবে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে এই লঙ্কানকে রান আউট করেন শামীম। ৫ বলে ৮ রান করেন মেন্ডিস। তিনে ব্যাট করতে নেমে আলো ছড়াতে পারেননি কুশল প্যারেরা। 

শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথমে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন প্যারো। এরপর crease-এ আসেন অভিষ্কা ফার্নান্দো। কিন্তু তিনি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি—মাত্র ৫ বলে ২ রান করে শরিফুলের ফাঁদে পড়ে ক্যাচ তুলে দেন। এতে শরিফুল তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বল হাতে তুলে দেন লিটন দাস সাইফউদ্দিনকে। প্রথম বল ছিল ওয়াইড ইয়র্কার, যা শুরুতে ব্যাটে না লাগার ধারণা তৈরি হয়। তবে মিরাজের উৎসাহে লিটন রিভিউ নেন এবং রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ব্যাটে লেগেছিল। ফলে আসালাঙ্কাকে আউট করে দেন সাইফউদ্দিন। এভাবে পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

কিন্তু প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করে যাচ্ছিলেন নিশাঙ্কা। তবে ১১তম ওভারে এই ওপেনারকে বিহাইন্ড দ্য উইকেটে ফাঁদে ফেলেন রিশাদ। ২৯ বলে ৩০ রান করেন নিশাঙ্কা। এক বল পরে রিশাদকে ক্যাচ উপহার নেন চামিকা করুণারত্নে।

নিশাঙ্কাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন দাসুন শানাকা। তবে ১২তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজের প্রথম শিকার হন তিনি। ১৬ বলে ২০ রান করেন শানাকা। এরপর ৬ বলে ৮ রান করে আউট হন ভ্যান্ডারসি।

এরপর থিকশানা (৬) ও বিনুরা ফার্নান্দো ৬ রানে আউট হলে ১৫ ওভার ২ বলে মাত্র ৯৪ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। এতে ৮৩ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসেন। এছাড়া শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন দুটি করে উইকেট। এক উইকেট করে ঝুলিতে যোগ করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version