এর আগে দুইবার এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে অংশ নিয়ে একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরে, ২৫ গোল হজম করে ফিরতে হয়েছিল শূন্য হাতে।

তবে তৃতীয়বারের অংশগ্রহণে এসে সেই হতাশা কাটিয়ে ইতিহাস গড়ল লাল-সবুজের মেয়েরা।

রোববার (২৯ জুন) মিয়ানমারের ইয়াংগুনে অনুষ্ঠিত বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৫-০ গোলে এগিয়ে ছিল তারা।

দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইন মাঠে কোনঠাসা ছিল ঋতুপর্ণা, তহুরা, শামসুন্নাহারদের কাছে। ১০ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে লিড নেওয়া বাংলাদেশ প্রথমার্ধে গোল করেছে ৫টি। দ্বিতীয়ার্ধে যোগ করে আরো দুটি।

জোড়া গোল করেছেন তহুরা খাতুন। অন্য পাঁচ গোলের ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার, কোহাতি কিসকু, বদলি মুনকি আক্তার একটি করে। একটি বাহরাইনের আত্মঘাতি।

মাঝমাঠ শক্তিশালী করে দল সাজিয়েছিলেন পিটার বাটলার। বাম দিকে ঋতুপর্ণা চাকমা, ডান দিকে শামসুন্নাহার জুনিয়র ও মাঝে তহুরা খাতুনকে দিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন কোচ। তাতে পুরোপুরি সফল বাটলার।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ ধাঁচে খেলেছেন আফঈদারা। তবে বড় জয়ের পরও একটা অতৃপ্তি রয়েই গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েদের। প্রথম ম্যাচে মিয়ানমার ৮ গোল দিয়েছে তুর্কমেনিস্তানের জালে। বাংলাদেশ করেছে ৭ গোল। তাই টেবিলে আপাতত দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ।

৬৬ মিনিটে এক সাথে তিন খেলোয়াড় পরিবর্তন করেন কোচ পিটার বাটলার। শামসুন্নাহার জুনিয়র, মনিকা চাকমা ও স্বপ্না রানীকে বসিয়ে মাঠে নামান সাগরিকা, মুনকি আক্তার ও শাহেদা আক্তার রিপাকে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version