জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ সমন্বয়কের পরিচয়ে চাঁদাবাজি, তদবির বা মামলা বাণিজ্যের চেষ্টা করলে সরাসরি তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিন।
রোববার (২৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সকল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে’ এমন পোস্ট করে সারজিস আলম মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সারাদেশের সব কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। কোনো অফিসে, কোনো বাসায় কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে কেউ চাঁদাবাজি, তদবির, মামলা বাণিজ্য করতে গেলে ধরে সোজা পুলিশে দেবেন।
এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশের বৈষম্যবিরোধীদের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, কমিটি স্থগিতের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয়ে কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই সকালে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদসহ পাঁচজন। ওইদিন তারা ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসেন। পরে ২৬ জুলাই রাতে বাকি টাকা আনতে বাসায় যান। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে তাৎক্ষনিক গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ আসামিকে হাতেনাতে আটক করেন।
এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংগঠন থেকে ৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
এ ছাড়া চাঁদাবাজির ঘটনায় রোববার সকালে ৬ জনকে আসামি করে গুলশান থানায় একটি মামলা করা হয়।