ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে ওঠেন এক তরুণী। তবে অসাবধানতাবশত তিনি ভুল করে উত্তরবঙ্গগামী একটি ট্রেনে উঠে পড়েন। বিষয়টি বুঝতে পেরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে নেমে ঢাকামুখী ট্রেন ধরার জন্য একটি অটোরিকশায় উঠেন। কিন্তু গভীর রাতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে অটোরিকশা চালকসহ তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাতে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে তারা পৃথকভাবে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিন রাত ৯টার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া সিরাজাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ধর্ষণকারী তিনজনের নাম দুলাল চন্দ্র (২৮), সজিব খান (১৯) ও রুপু মিয়া (২৭) বলে জানা গেছে। তারা সবাই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে, সকালে সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে এক তরুণী চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ট্রেনে ওঠেন। কিন্তু ভুল করে তিনি উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে ওঠে পড়েন। বিষয়টি বুঝতে পারলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে নামেন ওই তরুণী। স্টেশনে নেমে বিষয়টি জিআরপি পুলিশকে জানান।
পরে জিআর পুলিশ দুলাল নামে এক অটোরিকশাচালককে ওই তরুণীকে ঢাকার ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু দুলাল তাকে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে অপর দুজন তাকে ধর্ষণ করে ভোররাতে স্টেশনে ফেলে পালিয়ে যান।
ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন উর রশীদ বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা থানা পুলিশকে অবগত করি। আমাদের সহযোগিতায় টাঙ্গাইল থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
টাঙ্গাইল থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন।