ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে রকেট লঞ্চারের মাধ্যমে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে ৭৩ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সম্প্রতি গুরুতর রোগে আক্রান্ত ওই নারীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করেছে রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারী টার্মিনালি অসুস্থ। অর্থাৎ ব্যক্তি এমন একটি মারাত্মক ও চূড়ান্ত পর্যায়ের রোগে আক্রান্ত, যার আর কোনো নিরাময় বা চিকিৎসা নেই। এর কারণে রোগীর মৃত্যু অবধারিত হয়ে উঠেছে। সাধারণত এ ধরনের অসুস্থতায় ডাক্তাররা রোগীর আয়ুষ্কালের একটা আনুমানিক সময় দেন, যেমন কয়েক মাস বা এক বছরের মধ্যে রোগী মারা যেতে পারেন।
তেল আবিবের বাসিন্দা এই নারী সরকারবিরোধী একজন কর্মী বলে জানানো হয়েছে। যদিও তার নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে—গুরুতর অসুস্থতার বিষয়টি জানার পর প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তার ভাষায়, নিজের জীবন ‘উৎসর্গ’ করে ইসরায়েলকে বর্তমান সরকারের হাত থেকে ‘রক্ষা’ করতে চান তিনি।
অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এক সহকর্মীকে পরিকল্পনার কথা জানান এবং একটি রকেটচালিত গ্রেনেড কেনার ব্যাপারে সাহায্য চান। একই সঙ্গে নেতানিয়াহুর চলাফেরা, কর্মসূচি ও নিরাপত্তা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহেও ওই সহকর্মীর সহায়তা চান।
তবে ওই ব্যক্তি তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। পরে যখন বোঝেন যে তিনি থামছেন না, তখনই তিনি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। এর ভিত্তিতেই বৃদ্ধাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, ওই নারী এখনো বিপজ্জনক হতে পারেন। কারণ তিনি ‘শহীদ’ হতে রাজি বলেও দাবি করেছেন। তাই তাকে গৃহবন্দি রাখার আবেদন করেছে তারা।
সূত্র : খালিজ টাইমস