সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এক ভিডিও, যেখানে দেখা যায় এক ভীতসন্ত্রস্ত মা তার শিশুসন্তানকে নিয়ে সেনানিবাসের সামনে দাঁড়িয়ে কান্না করছেন। শিশুটি কন্ঠে চিৎকার করছে, “তুমি ভালো না, অনেক খারাপ; আমার মায়ের সাথে খুব বাজে আচরণ করেছো।”

ভিডিওতে একজন ব্যক্তি এগিয়ে এসে নারীর সান্তনা দেন এবং ভয়ের কিছু নেই বললেও মা ভয়ংকর এক ঘটনার বর্ণনা দিতে শুরু করেন। তিনি জানান, হাসপাতালের রুমে থাকা অবস্থায় ব্রিগেডিয়ার, একজন কমান্ডারসহ কয়েকজন ভারতীয় আর্মি অফিসার হঠাৎ এসে রুমে ঢুকে পড়েন। দরজা লাগিয়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন। এরপরই তাদের দ্বারা তিনি গণধর্ষণের শিকার হন।

এই নারী কর্নেল অমিত কুমারের স্ত্রী বলে জানা যায়। কর্নেল নিজেও অভিযোগ করেছেন, “আমার স্ত্রীকে জেনারেলরা ধর্ষণ করেছে, কিন্তু তারা এখনো স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করছে। কোনো এফআইআর হয়নি, কোনো গ্রেপ্তার হয়নি। ভিডিও থাকা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নীরব।”

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এমন বর্বরতার ঘটনা নতুন নয়। আগে কাশ্মীরি মুসলিম নারীদের ওপর পাষবিক নির্যাতন ও গণধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। মনিপুরেও সংঘর্ষের সময় নারীদের উপর ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু এবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারা এক কর্নেলের স্ত্রীর গণধর্ষণ দেশের বিবেককে শোকগ্লান করেছে, আর বিশ্বমঞ্চে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

অবাক করার বিষয়, এই নৃশংস ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় মিডিয়া একটুও প্রতিবেদন দেয়নি। সন্তানের সামনে মাকে গণধর্ষণের মতো অপরাধে সাধারণ ভারতীয় নাগরিক ও নেটিজেনরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

শিশুটির মানসিক অবস্থা কতটা বিপর্যস্ত হয়েছে, তার প্রভাব কত ভয়াবহ, তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা তীব্র। সাধারণ মানুষের মনে কম্পন সৃষ্টি করেছে এই বর্বরতার খবর। প্রশ্ন উঠেছে — এই নরেন্দ্র মোদীর দেশ কি এই নেক্কারজনক ঘটনার ন্যায় বিচার দিতে পারবে?

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version