উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া ছয়টি মরদেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সিএমএইচ-এর হিমঘরে রাখা অগ্নিদগ্ধ মরদেহগুলোর চেহারা, পোশাক বা আঙুলের ছাপ— কিছুই অবশিষ্ট নেই। ফলে শনাক্তকরণে শেষ ভরসা হিসেবে ডিএনএ পরীক্ষার ওপর নির্ভর করছে কর্তৃপক্ষ।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দাঁত আগুনে টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি, কারণ এর বাইরের আবরণ ‘এনামেল’ অত্যন্ত শক্ত। দাঁতের ভেতরের পাল্প টিস্যু থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা সম্ভব হলে পরিচয় মিলতে পারে। তবে দাঁত পুরোপুরি পুড়ে গেলে বিকল্প হিসেবে হাড়ের অভ্যন্তরীণ অংশ— বোন ম্যারো ব্যবহার করা হবে।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ জানিয়েছে, মরদেহ ও স্বজনদের কাছ থেকে ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে পরিচালিত হচ্ছে।

সিএমএইচ সূত্রে জানা গেছে, মরদেহগুলো এতটাই বিকৃত যে লিঙ্গ শনাক্ত করাও কঠিন। ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে স্বজনদের নমুনার সঙ্গে ম্যাচ করিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।

ডিএনএ পরীক্ষায় ফলাফল পেতে কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ দিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছে সিআইডি। তবে নমুনার মান ভালো হলে দ্রুত ফলাফল পাওয়া সম্ভব। এখন পর্যন্ত ১১ জন স্বজন— বাবা, মা, ভাই-বোনদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এদিকে, নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত করতে এবং সঠিক তালিকা প্রস্তুতে মাইলস্টোন কলেজ একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে প্রতিদিনের তথ্য হালনাগাদ করার নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version