অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঘন ঘন মতবিনিময় হলে গণতন্ত্র উত্তরণ আরও দ্রুত হতো—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা হঠাৎ করে ডেকেছিলেন। সাধারণত ক্রাইসিস তৈরি হলে তিনি ডাকেন। আমরা যাই কারণ আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা আমরা করবো। তবে আমাদের মনে হয়, এই ধরনের মতবিনিময় আরও ঘন ঘন হওয়া উচিত।”
বিমান দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গতকাল যা হয়েছে, একটি বিমান দুর্ঘটনায় অনেক কচি প্রাণ ঝরে গেছে। আমি নিজে গিয়ে দেখেছি, আমরা দুঃখপ্রকাশ করেছি, শোক জানিয়েছি। একইসঙ্গে মাইলস্টোন স্কুলে দুই উপদেষ্টা অবরুদ্ধ হওয়া এবং সচিবালয়ে পরীক্ষার জটিলতায় শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশ পরিস্থিতি প্রমাণ করে, প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়েছে। এটা ছিল একধরনের অরাজক অবস্থা। গোপালগঞ্জে ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থানের মতো ঘটনা মনে হয়েছে।”
তিনি জানান, “প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্য আহ্বান করেছেন, কারণ তার ভাষ্যমতে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে দলগুলো একসময় আন্দোলন করেছে। সেই আলোচনায় আমরা অংশ নিয়েছি। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যেই নির্বাচন হবে। আমরা চাই, সেই ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করা হোক। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে তা করবেন।”
সরকারের সীমাবদ্ধতা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “এই সরকারের কিছু স্বাভাবিক ত্রুটি থাকবে। তবে দুর্বলতাকে বড় করে না দেখে সদিচ্ছাকে বড় করে দেখা উচিত। নির্বাচনে আন্তরিকতার ঘাটতি আমরা দেখছি না।”
বিমান দুর্ঘটনায় সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, “সরকারে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে, অনভিজ্ঞতা রয়েছে কিছু ক্ষেত্রে।”
সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত কি না—এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, “কিছু কিছু বিশৃঙ্খলা ঘটছে। নিঃসন্দেহে এখানে ফ্যাসিস্ট শক্তিরা সমস্যা তৈরি করতে চাচ্ছে।”