গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ওপর হামলাকে আসন্ন নির্বাচন পেছানোর নতুন ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা ও তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জাসাস আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ফারুক বলেন, “গোপালগঞ্জে যেভাবে হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। যখনই লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা হয়, তখনই দেশে এক শ্রেণির ষড়যন্ত্রকারী সক্রিয় হয়ে ওঠে।”

জামায়াতকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে কারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, কারা আনন্দ মিছিল করেছিল—জাতি তা জানে। অতীতে যেমন দায়িত্বহীনভাবে কথা বলেছেন, এবার বুঝে শুনে কথা বলুন। জাতির কাছে ক্ষমা চান।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি জানতে চান, “গোপালগঞ্জে কারা এনসিপির নেতাদের ওপর হামলা করল? আওয়ামী লীগের আমলে যেসব পুলিশ নিয়োগ হয়েছে, তারা এখনও স্বপদে বহাল। তাঁদের উপস্থিতিতেই এসব ঘটনা ঘটছে কেন?”

তিনি বলেন, “১১ মাস পার হলেও নির্বাচন দিতে পারেনি সরকার। আর যখনই নির্বাচনের দিন-তারিখ আলোচনায় আসছে, তখনই হামলা বা বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। তাই প্রশ্ন উঠছে, গোপালগঞ্জের এই ঘটনা কি নির্বাচনী সময়সূচি পেছানোর নতুন কোনো কৌশল?”

তিনি আরও বলেন, “অনির্বাচিত সরকার থাকলে দেশে স্থিতিশীলতা থাকে না। তাই অবিলম্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক।”

জাসাস আহ্বায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাসাস সদস্য সচিব জাকির হোসেন, সংগীতশিল্পী ন্যান্সি, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসানুল্লাহ জনি প্রমুখ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version