ম্যাচ শুরুর অনেক আগে শারজাহ ওয়ারিয়র্সের ফেসবুকে দেখা মিলল একটা ছবির। তাসকিন আহমেদ কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছেন মোস্তাফিজুর রহমানের।
বিদেশ বিভূঁইয়ের লিগে দেখা হয়ে গেল দুই ‘দেশি’র, তবে এবার ভূমিকাটা ছিল ভিন্ন, একজন খেলছিলেন আরেকজনের বিপক্ষে। সেই লড়াইয়ে শেষমেশ শেষ হাসিটা মোস্তাফিজই হেসেছেন। তার দল দুবাই ক্যাপিটালস জিতেছে ৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে।
দল হারলেও তাসকিন নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। যদিও ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৪০টি। মোস্তাফিজ ২ ওভার বল করে নিয়েছেন ২ উইকেট, রান দিয়েছেন মোটে ১৩। তবে দুজনকেই ছাপিয়ে গেছেন মোহাম্মদ নবি। ব্যাট হাতে ১৯ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর বল হাতে তুলে নেন ৩ উইকেট। বনে যান ম্যাচসেরা।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে এদিন দুবাই তোলে ১৮০ রান। ওপেনার সেদিকুল্লাহ আতাল ৪৪ বলে ৬৬ রান করেন, জর্ডান কক্স করেন ১৯ বলে ২৮ রান। দুজনকেই সাজঘরের পথ দেখান তাসকিন। এরপর দুবাইয়ের অধিনায়ক দাসুন শানাকার উইকেটটাও তুলে নেন তিনি। শারজাহর হয়ে তিন ম্যাচ খেলে এই ম্যাচেই সবচেয়ে বেশি উইকেটের দেখা পেলেন বাংলাদেশের এই তারকা।
১৮১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা শারজাহকে চড়ে বসতে দেননি মোস্তাফিজ। নিজের দ্বিতীয় বলেই ফেরান তাসকিনের বদলি ‘ইমপ্যাক্ট সাব’ হিসেবে নামা জনসন চার্লস। এরপর হায়দার আলী, ওয়াকার সালামখিল আর মোহাম্মদ নবির বোলিংয়ের সামনে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি শারজাহ। শেষ দিকে মোস্তাফিজ ফেরান আদিল রশিদকে। ১১৭ রানে অলআউট হয় দলটা। টানা ২ হারের পর জয়ের মুখ দেখে মোস্তাফিজের দুবাই।
