ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে গত ২১ নভেম্বর টেলিফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সময় তাকে ক্ষমতা ছেড়ে নিজ দেশ থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলেছেন ট্রাম্প। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তাকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে বলে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্প ও মাদুরোর মধ্যে খুব কম সময় কথা হয়েছে। ওই সময় ট্রাম্পের কাছে মাদুরো বিভিন্ন দাবি দাওয়া জানান। তবে ট্রাম্প তার বেশিরভাগই প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রয়টার্সকে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, মাদুরো বলেছেন যদি তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয় তাহলে তিনি দেশ ছাড়তে রাজি আছেন। সাধারণ ক্ষমার মধ্যে রয়েছে তার ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের সব নিষেধাজ্ঞা, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলা মামলা।
এছাড়া ভেনেজুয়েলার আরও ১০০ কর্মকর্তার ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মাদুরো। যাদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধ মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাদক চোরাচালান অথবা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
ট্রাম্প তার বেশিরভাগ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তার হাতে এক সপ্তাহ সময় আছে। এরমধ্যে পরিবার নিয়ে নিজের পছন্দের গন্তব্যে যেতে পারবেন তিনি।
এই এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম গত শুক্রবার শেষ হয়। এরপর শনিবার ট্রাম্প অবৈধভাবে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে দুটি সূত্র।
এরআগে রোববার ট্রাম্প স্বীকার করেন মাদুরোর সঙ্গে তার টেলিফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
রয়টার্স সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ট্রাম্প ও মাদুরোর মধ্যে মাত্র ১৫ মিনিট কথা হয়েছে। মাদুরোর সামনে এখন খুব বেশি ‘অপশন’ নেই বলে উল্লেখ করেছে বার্তাসংস্থাটি।
সূত্র: রয়টার্স

