সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে হওয়া বিভিন্ন চুক্তি দেশের স্বার্থবিরোধী ছিল বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি দাবি করেন, ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি এবং চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি অপারেটরের হাতে দেওয়ার মতো আলোচনা দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর একটি আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর জীবনযাপন করা অসহায় বৃদ্ধ দম্পতির হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়ার পর এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে চায়, কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহলে পিআর পদ্ধতি ও গণভোট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা যে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছেন, গণভোটের কোনো আইনি কাঠামো এখনো দেশে নেই।

তিনি বলেন, দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি, নিত্যপণ্যের বাজার, কৃষকের উৎপাদন সংকটসহ জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে সরকারকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে সব চুক্তি হবে, তা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিবেচনায় হতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারের কিছু চুক্তির শর্ত জনগণ জানতেও পারেনি। দেশের বন্দর, সমুদ্রবন্দর যদি ধীরে ধীরে বিদেশি কর্তৃত্বে চলে যায়, তবে তা নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করবে। ড. ইউনূস সরকারের এই বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্য সচিব আতিকুর রহমান রুমান এবং পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাকর্মীসহ স্থানীয় কয়েকশ মানুষ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version