রাষ্ট্র পরিচালনায় জামায়াতে ইসলামী মানুষের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না—এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুরুল কবির। তিনি বলেন, “জুলাই সনদে কী আছে, তা সাধারণ মানুষকে বোঝানো হলে তারা নিশ্চয়ই বুঝবে। কিছু মানুষ হয়তো পড়তে জানে না, কিন্তু আমি মনে করি সাধারণ মানুষ কিছুই বুঝতে অক্ষম নয়। যদি ১০০ শতাংশ মানুষকে বিষয়টি বোঝানো যায়, তারা অবশ্যই বুঝবে।”

সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নুরুল কবির এসব কথা বলেছেন।

নুরুল কবির বলেন, ‘রাষ্ট্রের কর্তব্য হচ্ছে—গণভোটে পাঠানোর আগে জনগণকে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে জানানো। তিন মাস, চার মাস—যত সময়ই লাগুক না কেন, প্রতিটি ধারা কেন পরিবর্তন করা হলো, আগেরটা কেন খারাপ ছিল, নতুনটা কেন ভালো—তা পরিষ্কারভাবে জনগণকে জানাতে হবে। আমি মনে করি না যে মানুষকে জানালে তারা বুঝবে না।

আর সেটা জানিয়ে যদি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে সেটি হবে একটি সহীহ বা যথাযথ প্রক্রিয়া। কিন্তু তা না করলে, জনগণের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সেটি আরেক ধরনের প্রতারণা হবে।’

তিনি আরো বলেন, “যে রাজনৈতিক দলগুলো কেবল রেটরিক আকারে ‘হ্যাঁ-না’ ভোটের মাধ্যমে নিজেদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অনুমোদন নিতে চায়—তারা গণতান্ত্রিক নয়, সহজাতভাবেও নয়। আমি জানি, তাদের জন্য এসব বিষয় মাথাব্যথার নয়।

“জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মানুষের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না,”—এ মন্তব্য করেছেন নুরুল কবির।

তিনি আরও বলেন, “এনসিপির যে তরুণরা এখন পর্যন্ত কোনো পার্টি ম্যানিফেস্টো ঘোষণা করেনি, তাদের রাজনৈতিক অবস্থান—ডানপন্থী, বামপন্থী নাকি মধ্যপন্থী—তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তারা যদি গণতন্ত্রের কথা বলে, তাহলে আমরা তাদের ‘বেনিফিট অব ডাউট’ দিতে পারি। কিন্তু তাদের উচিত হবে, মানুষকে অন্ধকারে রেখে, কোনো ব্যাখ্যা না দিয়েই ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া—এ ধরনের পদক্ষেপে বুদ্ধিবৃত্তিক বা রাজনৈতিক সততা থাকে না।”

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version