চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুয়েত থেকে বিভিন্ন দেশের ২৮ হাজার ৯৮৪ জনের বেশি প্রবাসীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যে ভিত্তি করে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

জানা গেছে, বহিষ্কৃতদের অধিকাংশই ছিলেন আবাসিক আইন লঙ্ঘনকারী, পলাতক, ভিক্ষুক এবং মাদক রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি। এছাড়াও সন্দেহজনক বা অবৈধ কার্যকলাপ, অনিয়মিত কর্মসংস্থান এবং সামাজিক বা নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি সৃষ্টি করায় অনেকে বহিষ্কারের আওতায় এসেছেন।

সূত্র জানায়, নির্বাসন প্রক্রিয়ায় যদি কোনো বহিষ্কৃত ব্যক্তি বা তার স্পন্সর বিমান ভাড়ার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হন, তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চুক্তিভিত্তিক ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে টিকিটের খরচ বহন করে। পরবর্তীতে এই অর্থ স্পন্সরের বিরুদ্ধে আর্থিক দাবি হিসেবে নিবন্ধিত হয় এবং পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের ভ্রমণ ও আর্থিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

বলা হয়েছে, নির্বাসিত ব্যক্তির গড় অবস্থানকাল প্রায় তিন দিন, যদি বৈধ পাসপোর্ট বা জরুরি ভ্রমণ নথি থাকে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ভ্রমণ নথি ইস্যু করতে দূতাবাসের বিলম্ব বা আদালতের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘ সময় আটক থাকতে হয়।

নথিহীন প্রবাসীদের জন্য জরুরি ভ্রমণ নথি সংগ্রহে সংশোধনমূলক প্রশাসন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার বিভাগ দূতাবাসগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।

কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দেশজুড়ে নিয়মিত নিরাপত্তা অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে হাজার হাজার আইন লঙ্ঘনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, জননিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় কঠোর অবস্থান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version