প্রয়াত সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ আসামের ‘জনতার তারকা’ ছিলেন তা তার মৃত্যুর পর আরও একবার প্রমাণিত হলো। তিনি সিঙ্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মারা যান। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এই তারকার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে অনেকেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পাচ্ছেন! এমনকি এই আঁচের ভিত্তিতেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) গ্রেপ্তার করা হয়েছে জুবিনের টিমের ড্রামার শেখরজ্যোতি গোস্বামীকে।

এখনো আসাম মেনে নিতে পারছে না গায়ক জুবিন গর্গের আকস্মিক মৃত্যু। কিভাবে স্কুবা করতে গিয়ে একজনের মৃত্যু ঘটে, তা নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে।

নজরে রয়েছেন গায়কের আপ্ত সহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মাও। জানা গিয়েছে, জুবিনের মৃত্যুর তদন্তে আরও কয়েকজনকে সমন পাঠানো হয়েছে। ঠিক এই সময়ই সামাজিক মাধ্যমে মুখ খুললেন আসামের আরেক গায়ক পাপন। জুবিনের সঙ্গে তাঁর দারুণ বন্ধুত্ব ছিল।সেই বন্ধুত্বকে সঙ্গে নিয়েই আসাম সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন করলেন পাপন।

পাপন লিখলেন, তোমাকে খুব মিস করছি ভাই। যেখানেই থাকো, ভালো থাকো।

সেখানেই আসাম সরকারের কাছে দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জুবিনের বন্ধু-গায়ক পাপন।

পোস্টে উল্লেখ করেছেন, দ্রুত তদন্তের অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা যেসব উত্তরগুলো খুঁজছি, সেগুলো যেন তাড়াতাড়ি পাই।

তিন বছর বয়স থেকেই সংগীতের প্রশিক্ষণ শুরু করেন জুবিন। মায়ের কাছেই তার প্রথম গান শেখা। পরে ১৯৯২ সালে পেশাগতভাবে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি।

অহমিয়া সিনেমার পাশাপাশি বাংলা সিনেমাতেও প্রচুর গান গেয়েছেন জুবিন। সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘মন মানে না’, ‘পিয়া রে’ তাঁর জনপ্রিয় গান। বলিউডে প্রীতমের হাত ধরে ‘গ্যাংস্টার’ ছবির ‘ইয়া আলি’ গান হইচই ফেলে দিয়েছিল গোটা ভারতে ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version