স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে মোতায়েন থাকবে ১ লাখ সেনাসদস্য। পাশাপাশি নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীসহ সব ধরনের বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জনগণই নির্বাচনের মূল শক্তি। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হবে, তখন তা কেউ আটকাতে পারবে না। যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, সেই বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পরামর্শও এসেছে। এসব বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত করা হবে। আসন্ন দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে জনগণের ওপর। জনগণই আসল শক্তি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি মতৈক্য হয়, তবে সেটি ইতিবাচক হবে। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের আইন ও ব্যবস্থাপনারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে, সদস্য সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে মাঠে প্রায় ৩০ হাজার সেনা আছে, নির্বাচনের সময় তা এক লাখে উন্নীত হবে। নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারসহ সবাই মাঠে থাকবে।
সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের সফলতা অনেক। ইতোমধ্যে অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কিছু অস্ত্র বাইরে রয়ে গেছে। নির্বাচনের আগে আরও অস্ত্র উদ্ধার হয়ে যাবে।
সারাদেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আজ ঢাকায় মিছিল হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের আইনের আওতায় আনতে। তারা সহজে জামিন না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। নির্বাচনের সময় মিছিলের সংখ্যা বাড়বে, সবাই মাঠে নামবে। তবে ছোটখাটো এসব (ছাত্রলীগের) মিছিল আর হবে না।
আসন্ন দুর্গাপূজা সম্পর্কে বলেন, এবারের দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে বলে আমরা আশা করছি। কোনো জায়গায় বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। দুর্গাপূজা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, এ জন্য এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি। আমি অন্যান্য ধর্মের মানুষদেরও অনুরোধ করছি, তারা যেন সহযোগিতা করেন, যাতে পূজার আয়োজন শান্তিপূর্ণভাবে হয় এবং ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষা পায়।