দেশের শোবিজ অঙ্গনে আরও এক নক্ষত্রের পতন! অনেকদিনের অসুস্থতা, এরপর শেষে এসে টানা ১৪ দিনের লড়াই; আর অবশেষে হার মানতে হলো ফরিদা পারভীনের। গত শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন লালনসংগীতজ্ঞ এই বরেণ্য শিল্পী।

মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। চার সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। ছেলে ইমাম জাফর নোমানী সামাজিক মাধ্যমে তার প্রয়াণের খবর প্রথম প্রকাশ্যে আনেন।

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। এরপর পরিস্থিতি হতে থাকে বেগতিক। সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করতে হতো। এর আগেও সংকটাপন্ন অবস্থায় বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল ফরিদাকে। কিন্তু সুস্থতা অনুভব করলেই বাসায় ফেরেন তিনি।

এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে। কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।

তখন চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকেন। গত বুধবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরই মধ্যে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ফরিদা পারভীনের কিডনি, ব্রেন কাজ করছে না। ফুসফুসে সমস্যা আছে; জটিলতা আগের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু তার ঘণ্টা খানেক পরই, রাতে এলো দুঃসংবাদ!

আশীষ কুমারের কথায়, ‘আমরা আর পারলাম না আপাকে ফেরাতে। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করেছেন তিনি।’

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version