বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম অযৌক্তিকভাবে গণছুটি নিয়ে ব্যাহত করার কোনো চেষ্টা সরকার মেনে নেবে না। তিনি বলেন, প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে গণছুটি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন, যার লক্ষ্য জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা। মন্ত্রণালয় এখনও সেটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে না করলেও, কর্মীরা কাজে না ফিরলে বিষয়টিকে তেমনই ধরে নেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ একটি অত্যাবশ্যকীয় সেবা। সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্রুত কাজে যোগ দিতে হবে। ছুটিতে থাকলে আলোচনায় বসা সম্ভব নয়। কাজে যোগ দিলেই যে কোনো সময় আলোচনায় বসা যাবে।’

ফাওজুল কবির খান জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কেনাকাটায় দুর্নীতি অনুসন্ধানে সাবেক সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চাকরি বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘অনেককে কাজে যোগ দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। যারা এমন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরইমধ্যে তিনটি জিডি করা হয়েছে। সরকার সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে, দুর্বলতা ভাবলে ভুল হবে।’গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানান জ্বালানি উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে না সরকার এবং দাম বাড়ানোর পরিকল্পনাও নেই। দাম না বাড়িয়েই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ঘাটতি মোকাবিলার চেষ্টা চলছে।

ফাওজুল কবির বলেন, গ্যাসের ঘাটতি কমাতে সরকার বেশি পরিমাণে এলএনজি (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করছে। পাশাপাশি বাসাবাড়ির পুরোনো গ্যাস লাইনগুলোর মেরামত ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ চলছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version