যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের প্রতিবাদে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা স্লোগান দেন— “ট্রাম্পকে এখনই বিদায় করতে হবে” এবং ফেডারেল বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানান।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, ‘উই আর অল ডিসি’ নামের বিক্ষোভে অংশ নেন অভিবাসী অধিকারকর্মী, ফিলিস্তিন সমর্থক ও সাধারণ নাগরিকরা। তাদের হাতে থাকা পোস্টারে লেখা ছিল— “ডিসিকে মুক্ত করো”, “স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলো”।
এক বিক্ষোভকারী অ্যালেক্স লফার বলেন— “আমরা এসেছি কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। ন্যাশনাল গার্ড ও ফেডারেল পুলিশকে রাস্তা থেকে সরাতে হবে।”
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, আইন-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা রক্ষার জন্যই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি মেট্রোপলিটন পুলিশকে ফেডারেল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এবং আইসিইসহ বিভিন্ন বাহিনী নামান। সমালোচকদের মতে, এটি ফেডারেল ক্ষমতার স্পষ্ট অপব্যবহার।
যদিও বিচার বিভাগের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে ওয়াশিংটনে সহিংস অপরাধ গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে।
ট্রাম্প আরও হুঁশিয়ারি দেন, শিকাগোতেও ন্যাশনাল গার্ড পাঠানো হবে। ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকার জানান, ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যেই আইসিই এজেন্ট ও সামরিক যান শিকাগোতে পাঠিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য— “ডিসিতে যা হচ্ছে, তা একনায়কতান্ত্রিক সরকারের কায়দা। এখনই প্রতিরোধ গড়ে না তুললে ধীরে ধীরে গোটা দেশকে সামরিকায়ন করা হবে।”
বর্তমানে ছয়টি রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা দুই হাজারের বেশি সেনা ওয়াশিংটনে টহল দিচ্ছে। তাদের মিশন চলবে অন্তত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
