গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে আইসিইউতে তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তিনি এখনো পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় নুরের সামনে এখনো বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। এ ধরনের ট্রমাটিক সাবআরাকনয়েড হেমোরেজ দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্কে স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে স্নায়বিক জটিলতা, কথা বলায় সমস্যা, ভারসাম্যহীনতা এমনকি আলঝেইমারের ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।
এছাড়া মাথায় ফ্র্যাকচার থাকায় ভবিষ্যতে ইনফেকশনের ঝুঁকিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই উন্নত চিকিৎসা, নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও নিয়মিত ফলোআপ জরুরি বলে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন।
নুরের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল বলেন, “২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ২০১৯ সালে ডাকসু ভবনের হামলায় নুর গুরুতর আহত হয়েছিলেন। বর্তমান আঘাতের জটিলতা বিবেচনা করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়া জরুরি।”
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম সংলগ্ন আল রাজী টাওয়ারের সামনে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুরসহ সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী। পরে তাকে সহকর্মীরা দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।