ঘটেছে। এতে বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণিকক্ষের তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে আটটি সেলিং ফ্যান ও শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য রাখা ছয়টি ফুটবলসহ অন্যান্য খেলনা নিয়ে যায় চোরেরা। এ সময় অফিস কক্ষের আলমারির তালা ভেঙে কাগজপত্র তছনছ করা হয়।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের চকরঘুনাথ বালুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের ফ্যান চুরি হওয়ায় গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী নেই। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিদ্যালয়ে এসে দেখি, অফিস কক্ষ ও পাশের শ্রেণিকক্ষের দরজার হ্যাজবল কাটা রয়েছে। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখি, দুই ঘরের আটটি ফ্যান খুলে নিয়ে গেছে। অফিস কক্ষের ভেতরে রাখা শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা করার নতুন চারটি, পুরাতন দুটিসহ ছয়টি ফুটবল ও অন্যান্য খেলনা চুরি হয়েছে। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিদ্যালয়ে ফ্যান না থাকায় সবার অনেক কষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মিজানুর রহমান মজনু বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে বিদ্যালয়ের চুরির ঘটনাটি জানিয়েছেন। আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। দুটি কক্ষের ৮টি ফ্যান ও কিছু খেলাধুলার সামগ্রী চুরি হয়েছে। বিদ্যালয়টি নতুন জাতীয়করণ হওয়ায় কোনো নৈশপ্রহরী নেই।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। দ্রুত চোরদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version