বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্তব্য করেছেন, প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রচলিত রাজনীতির ধারায় গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘প্রত্যেক মা-বাবা তার সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চান। প্রত্যেক মা-বাবার চাওয়া-পাওয়া কিংবা প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করছে।

কারণ বিএনপি মনে করে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের প্রচলিত ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রচলিত রাজনীতির ধারার গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) যুগে প্রবেশ করছে। এই সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কিন্তু আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো রকম সুযোগ নেই।

এই সময়ের চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে বিএনপি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সেক্টরকে চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনা নির্ধারণ করছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর অথবা কোনো কারণে ড্রপআউট (পড়াশোনা শেষ করতে না পারলে) হলে তাকে যাতে বেকার জীবন কাটাতে না হয় সেই পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই শিক্ষা কারিকুলামে স্কুল পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত অন্তত একাডেমিক স্টাডির পাশাপাশি ব্যাবহারিক এবং কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’

তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ দেড় দশকের বেশি সময় পর নিজেদের এজেন্ডা-ম্যানিফেস্টো বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে।

তবে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর কিছু সদস্যের বক্তব্য গণতন্ত্রকামী জনগণের মনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যদি দূরত্ব তৈরি হয়, রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পতিত ও পরাজিত ফ্যাসিস্ট চক্রের পুনর্বাসনের পথ সহজ হয়ে উঠবে এবং তাদের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি সতর্ক ও সজাগ থাকার বিনীত আহ্বান জানাই।”

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version