ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের চাসোতি এলাকায় ‘ক্লাউডবার্স্ট’ বা মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে কিশতওয়ার জেলার চাসোতি এলাকায় ক্লাউডবার্স্টে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। ঘটনাস্থলে তৎপরতা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলো।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৯৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এনডিটিভি বলছে, চাসোতি হিমালয়ের মাচাইল মাতার পবিত্রধামের পথে শেষ মোটরযান-চলাচলযোগ্য গ্রাম এবং মাচাইল মাতা যাত্রার সূচনাবিন্দু। এ কারণে ঘটনাস্থলে তীর্থযাত্রীদের উপস্থিতি ছিল বেশি। বন্যার কারণে বার্ষিক এই যাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
কিশতওয়ারের জেলা প্রশাসক পঙ্কজ শর্মা জানান, ‘চাসোতি এলাকায় আকস্মিক বন্যা হয়েছে এবং উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।’ তিনি সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ নরেশ সিংয়ের সঙ্গে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তার জন্য আধুনিক সরঞ্জামসহ এনডিআরএফ-এর ১৮০ জন সদস্যকে উধমপুর ঘাঁটি থেকে মেঘভাঙা অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, তিনি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘মেঘ ভাঙনের ঘটনাটি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, এর ফলে উল্লেখ্যযোগ্য হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। জেলা প্রশাসন দ্রুত ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই আমরা বিস্তারিত জানতে পারব। সম্ভাব্য সকল সহায়তা দেয়া হবে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আহতদের উদ্ধারের প্রস্তুতিও চলছে।’
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহর কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সব ধরনের সম্ভাব্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে, লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জানিয়েছেন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থাগুলোকে উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
