গাজার মাটিতে আরও এক রক্তাক্ত দিন। ইসরায়েলি বোমার আঘাতে মাত্র একদিনেই ঝরে গেল আরও ৮৩টি প্রাণ।
নতুন এই মৃত্যুর সাথে সাথে, চলমান অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৬০ হাজার ৩৩২। আহত হয়েছেন আরও প্রায় দেড় লাখ মানুষ।

এই তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা জানায়—বেশিরভাগ হতাহতই সাধারণ মানুষ, যাদের অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারে নেই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম, নেই প্রয়োজনীয় মানবশক্তিও।

অবস্থা আরও করুণ হয়ে উঠেছে যখন জানা যায়, ত্রাণ নিতে আসা সাধারণ মানুষের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে।
শুধু শুক্রবারেই ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় নিহত হয়েছেন ৫৩ জন ফিলিস্তিনি, আহত আরও ৪০০।

সবচেয়ে মর্মান্তিক সত্য হলো—এই যুদ্ধের শুরুটা ছিল এক অতর্কিত হামলা দিয়ে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে ঢুকে ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে।
তারপর থেকেই শুরু হয় ইসরায়েলের পাল্টা অভিযান।

যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি, কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি দুই মাসও। মার্চ থেকে আবার শুরু হয় অভিযান। গত চার মাসেই প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

জাতিসংঘ, আইসিজে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানালেও, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন—এই অভিযান চলবে, যতদিন না হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস এবং জিম্মিদের মুক্ত করা যায়।

এ যেন এক দীর্ঘ যুদ্ধের ময়দানে আটকে পড়া অসহায় জনপদ— যেখানে প্রতিদিনের সূর্য অস্ত যায়, রক্তস্নাত শোক আর কান্নার ছায়া নিয়ে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version