চলতি মাসের বেতন স্বাভাবিক সময়ের মতো নাও পেতে পারেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।

বুধবার (৩১ জুলাই) উপপরিচালক (অর্থ) ড. কে এম শফিকুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শিক্ষক-কর্মচারীদেরর ইনক্রিমেন্ট হিসাব ও অন্যান্য বিষয়াদির কাজ চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষক-কর্মচারীদের চলতি জুলাই মাসের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশের জন্য ৫ থেকে ৭ কর্মদিবস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।

এর আগে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন।

গত সোমবার (২৮ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্প্রতি, ১২৪/২০২২ নম্বর সিভিল রিভিউ পিটিশন এ সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান ১১তম থেকে ১০ম গ্রেড বেতন স্কেলে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ যৌক্তিক বিবেচিত হওয়ায় সরকার সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫০২ প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে সরকার সম্মতি দিয়েছে।

এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। নেওয়া উদ্যোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তারা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবে। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version