“জুলাই শুধু একটি মাস নয়, এটি আমাদের রাজনৈতিক ইশতেহার, আমাদের রাজনৈতিক গন্তব্য।”
এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “জুলাইয়ের পথেই আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”
শনিবার (৫ জুলাই) বগুড়ার সাতমাথা মুক্তমঞ্চে এক পথসভায় এ কথা বলেন তিনি। এর আগে শহরের কলোনী এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করে এনসিপি নেতাকর্মীরা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “এই বগুড়া একটি ঐতিহাসিক স্থান, পুণ্ড্রনগর সভ্যতার সূচনা এখান থেকেই। কিন্তু আজ এই এলাকা সিটি কর্পোরেশন ঘোষণার পরও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমরা বলি, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি বলেন, “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা প্রশাসন, পুলিশ ও আদালতের নিরপেক্ষতা দাবি করেছি। যদি কেউ পুরনো কায়দায় দলবাজ প্রশাসক সেজে কাজ করে, তাদের পরিণতিও হবে ফ্যাসিস্ট মুজিববাদের মতো।”
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “যারা সেই ভোট ডাকাতির নির্বাচন পরিচালনা করেছিল, তাদের পরিণতি ইতিহাস মনে রেখেছে। গণঅভ্যুত্থানের শক্তি কেউ অবমূল্যায়ন করলে তারা ভুল করবে।”
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “কোনো দলবাজ প্রশাসক কিংবা দলীয় পুলিশকে ছাড় দেওয়া হবে না। বগুড়ার প্রশাসন, পুলিশ ও আদালতকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। জনগণের বিপক্ষে কেউ দাঁড়ালে তারা প্রত্যাখ্যাত হবেন।”
তিনি জানান, “আমরা নতুন বাংলাদেশ, নতুন সিস্টেম, নতুন আইন চাই। আমরা আর চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে অংশ নেব না। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে টালবাহানা বন্ধ করতে হবে। এটি অবশ্যই জাতীয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে।”
নাহিদ বলেন, “আগামী ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর মধ্য দিয়ে শুরু হবে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা। যারা এই ঘোষণাপত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় না, তারা মুজিববাদের পাহারাদার।”
পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন: সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, এবং দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
পলিটিক্স/মি