ড. মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ থেমেছে। কিন্তু নতুন করে হুমকি দিচ্ছে ট্রাম্প। প্রয়োজনে আবারো আক্রমণ। তাহলে ইরানের যুদ্ধ সক্ষমতা প্রদর্শনের পর এ অঞ্চলে শান্তি ফেরার যে আশা করা হচ্ছেল- তা কোন পথে এগোচ্ছে! স্থাায়ী শান্তির প্রত্যাশা কি দূরে সরে যাচ্ছে! যেমনটি বলা হচ্ছে ইসরায়েলের দম্ভ ছিল সাত দিনের কম সময়ে সম্মিলিত আরব দেশগুলোকে পরাজিত করার। শক্তিশালী ইসরায়েল আক্রমণ করার হিম্মত ও সামর্থ্য কোনো মুসলিম দেশের আছে বলে কেউ ভাবেনি। এমনই অপ্রতিরোধ্য ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় সাধারণ মানুষ, নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা করলেও কেউ কিছুই করতে পারছিল না। বেপরোয়া দেশটি বিনা প্ররোচনায় ইরান আক্রমণ করে চরম মাশুল দিতে বাধ্য হয়েছে। ইরানের পালটা চপেটাঘাত হজম করে সামরিক ও আর্থিক ক্ষতির অতল গাড্ডায় পড়েছে আগ্রাসী দেশটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করতে পাশে না দাঁড়ালে ইরানের পালটা আঘাতে ইসরায়েলের অবস্থা হতো আরও শোচনীয়। তথাপি জায়নবাদী ইসরায়েল গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্যাগ করেনি। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলায় এক দিনে কমপক্ষে আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। এতে অবরুদ্ধ এ উপত্যকাটিতে ইসরায়েল কর্তৃক নিহতের মোট সংখ্যা ৫৬ হাজার ২৫০ ছাড়িয়ে গেছে। গত শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের উত্তেজনাপূর্ণ সংঘর্ষের শেষ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে ও ইরানের বিপক্ষে জড়িত হলেও ইসরায়েল বিজয়ের দেখা পায়নি। বরং যুদ্ধে ইসরায়েলের দশ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গৃহহীন হয়েছে।
দেশটির ২০২৫ সালের প্রতিরক্ষা ব্যয় ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রীয় অনুমোদিত বাজেট ছাড়িয়ে গেছে, যা ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা এবং গাজায় চলমান যুদ্ধের ফলে ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন শেকেল পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের হা’আরেতজ পত্রিকার অর্থনৈতিক বিভাগ। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৬ সালের সামরিক ব্যয় আরও ২৫ থেকে ৩০ বিলিয়ন শেকেল পর্যন্ত বাড়বে। ১৩ জুন ইসরায়েল বিনা ঘোষণা ও প্ররোচনায় বিমান হামলা চালায় ইরানে, যেখানে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয় এবং শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও বিজ্ঞানীরা নিহত হন। এর পালটা প্রতিশোধ হিসাবে ইরান ইসরায়েলের দিকে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র থামাতে সক্ষম হলেও বহু ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির ভেতরে প্রবেশ করে অকল্পনীয় ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ইসরায়েল যখন তেহরানে হামলা শুরু করে, তখন তাদের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। গত এক বছরে একাধিক সংঘর্ষে তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলের সেই অপরাজেয় ইমেজ ইরানের পালটা হামলায় ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছিল, ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে থামানো এবং ইরানে সরকার পরিবর্তন করা হবে। আগে ২০২৪ সালের এপ্রিল ও অক্টোবরে ইরানের সামরিক সক্ষমতা দুই দফা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। ইরান মোটেও ভয় না পেয়ে পালটা আঘাতে ইসরায়েলি ও মার্কিন স্থাপনা ধ্বংস করেছে। সরকার বদলের পরিবর্তে ইরানের জনতা রাস্তায় নেমে ঐক্য ও সংহতি প্রদর্শন করেছে। অন্যদিকে আক্রান্ত ইসরায়েলি শহরগুলো থেকে দলে দলে নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এ যুদ্ধ ইরানকে সংহত করেছে এবং ইসরায়েলকে করেছে দিশেহারা। যদিও যুদ্ধের শিক্ষা থেকে ইসরায়েল সংযত ও নিবৃত্ত না হয়ে গাজায় গণহত্যার উন্মত্ততা অব্যাহত রেখেছে। ১২ দিনের যুদ্ধে ইরান, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের নানা রকমের লাভ-ক্ষতি হলেও গাজায় গণহত্যার শিকার নিরীহ সাধারণ নাগরিকদের কোনো লাভ হয়নি। তাদের প্রতিদিনই অকাতরে জীবন দিতে হচ্ছে ইসরাইলি বোমা ও বুলেটে। ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক যুদ্ধে ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে ছিল অস্পষ্টতা। যুদ্ধের ১০ দিন পর, ২২ জুন শুরু হয় মার্কিনিদের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার‘। এতে ৭৫টি নির্ভুল বোমা নিক্ষেপ করা হয়, যার মধ্যে ১৪টি ছিল ‘বাংকার বাস্টার’; এগুলো ইরানের ফোর্দো, নাটাঞ্জ ও ইসফাহানে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনায় ফেলা হয়। এ নজিরবিহীন হামলা পরিচালিত হয় এমন এক মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমোদনে, যিনি এক সময় বিদেশে আমেরিকার জটিলতা শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এ হামলার মাত্র তিন মাস আগে জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড কংগ্রেসে বলেছিলেন, ইরান সক্রিয়ভাবে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ করছে না। হামলার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুবার এ মূল্যায়নকে বিদ্রƒপ করেন। এমনকি ট্রাম্পের দেওয়া পোস্টগুলোতে ইরানে সরকার পরিবর্তনের ডাক ছিল। তার আকস্মিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আবারও পরিস্থিতি অস্পষ্ট করেছে। কারণ যদি লক্ষ্য হয়ে থাকে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাক্সক্ষা থামানো, তাহলে এখনো পরিষ্কার নয়, তা আদৌ অর্জিত হয়েছে কি না; বা আদৌ অর্জনযোগ্য ছিল কি না। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, লক্ষ্যবস্তু করা ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, সেগুলো ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়েছে কিনা। সিএনএনের প্রতিবেদনে গোয়েন্দা মূল্যায়নের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এ হামলাগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল উপাদানগুলো ধ্বংস করতে পারেনি এবং ‘সম্ভবত কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে মাত্র।’ ট্রাম্প অবশ্য এ প্রতিবেদনেরও বিরোধিতা করেন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবকিছু নির্ভর করছে ইরানের ৪০০ কেজি উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ সামরিক মানের ইউরেনিয়ামের ভবিষ্যতের ওপর, যা একাধিক ওয়ারহেড তৈরির জন্য যথেষ্ট এবং মাত্র ১০টি গাড়ির পেছনে পরিবহণযোগ্য। ইরান তার মজুত করা ইউরেনিয়াম সম্ভবত সরিয়ে নিয়েছিল। এখন এই ইউরেনিয়ামের অবস্থান বিশ্বাসযোগ্যভাবে শনাক্ত করার দাবি করে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পঙ্গু করার কথা বলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অবস্থান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সংঘাতের শুরুতেই দেশটি প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিশেষ করে ইসরায়েলের প্রথম দিনের বিমান হামলায়।
এতে সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা নিহত হন এবং দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র গর্ব করে জানায়, তারা ইরানের ওপর আকাশপথে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। পরবর্তী ১২ দিনে ইরান পালটা জবাব দিতে সক্ষম হয়। সংঘাতের শুরুতে ইরানের কাছে প্রায় দুই হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী, ইরান ৫০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। অন্যদিকে ট্রাম্প যখন ইঙ্গিত দেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা একটি সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারেন, তখন বেশির ভাগ বিশ্লেষক মনে করেন, ইরান সরকারের জনপ্রিয়তা কম থাকলেও তা পরিবর্তন করা যাবে না। কারণ দেশে কোনো বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি নেই। ফলে তেল আবিব ও ওয়াশিংটন ইরানি শাসনব্যবস্থা ধসে পড়বে বলে প্রচারণা চালায়, তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং আক্রমণের মুখে ইরানিরা সরকারের সঙ্গে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ-জাতীয়তাবাদী সম্পর্ক গড়েছে। ইসরায়েল নিয়মিতভাবেই তেহরানঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলোকে (যেমন হিজবুল্লাহ) লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত ও ইরানের অভ্যন্তরে গভীরভাবে অনুপ্রবেশ করেছে।
ফলে তেহরানে হামাস প্রধানকে হত্যার মতো অভিযান সম্ভব হয়েছে। সিরিয়ায় ইরানপন্থি আসাদ সরকার অকার্যকর হয়ে পড়ায় ইয়েমেনের হুতিরা সম্ভবত একমাত্র ইরান সমর্থক প্রক্সিগোষ্ঠী, যারা এখনো কার্যকরভাবে মার্কিন ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে। আরব জনমানুষের দৃষ্টিতে ইরান আগ্রাসী ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবিলায় যথেষ্ট সহানুভূতি ও সম্মান অর্জন করেছে। পক্ষান্তরে আরব সরকারগুলো ছিল অতীতের মতোই নিষ্ক্রিয় এবং নিরপেক্ষতার নামে মার্কিন-ইসরায়েল স্বার্থের রক্ষক। তারা ইসরায়েলি হামলা এবং জবাবে ইরানের হামলাকে নিন্দা করলেও ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের হামলার সময় ছিল অনেক সংযত। তুরস্ক ও সৌদি আরব শুধু ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে, আর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার নিন্দা জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেনি। ইসরায়েল সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো ওয়াশিংটনকে সরাসরি ইরানে হামলা চালাতে রাজি করানো। এটি নেতানিয়াহুর জন্য এক রাজনৈতিক পুনর্জন্মের মুহূর্ত। তিনি এমন একজন প্রধানমন্ত্রী যিনি নিজের দেশে হামাস আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ ও গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে গণহত্যার অপরাধের জন্য তীব্রভাবে অভিযুক্ত। দশকের পর দশক ধরে নেতানিয়াহু বলে আসছিলেন যে, ইরান কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। তিনি বারবার বৃহৎ পরিসরে ইরানকে হামলার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু পশ্চিমা রাজধানীগুলোতে তার দাবিকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছিল। ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা শাসনকালে সেই চিত্র বদলাতে শুরু করে। এর একটি প্রথম লক্ষণ ছিল ইরানের সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদল, নির্দিষ্ট স্থাপনায় সীমিত পরিমাণে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ মেনে নেওয়ার পরিবর্তে এখন পুরোপুরি শূন্য সমৃদ্ধকরণের দাবি। তেহরান এ দাবি প্রত্যাখ্যান করায় আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে।
ইসরায়েলের দুর্ভেদ্য রাজধানী ও শহরগুলোর ধ্বংসচিত্র আর কাতারে একটি মার্কিন ঘাঁটিতে পরিকল্পিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তাণ্ডব দেখে অভাবনীয় দ্রুততায় মুখরক্ষা করার কৌশল হিসাবে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করা হয়। যে বিক্রমে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র হামলার জন্য ইরানের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়েছিল, ১২ দিনে তাদের তেজ যুদ্ধবিরতির আকুতিতে পরিণত হয়। কৌশলগত কারণে ইরানও যুদ্ধের গতি না বাড়িয়ে শান্ত রয়েছে। প্রকৃত উত্তেজনা বাড়ানোর বদলে তেহরান সম্ভবত ভবিষ্যতের দিনগুলোতে সরাসরি সংঘাত এড়িয়ে চলবে।
ইরান সম্ভবত তার ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত শক্তভাবে ধরে রাখবে, ভবিষ্যতের পরমাণু আলোচনা নিয়ে পশ্চিমের সঙ্গে দরকষাকষির হাতিয়ার হিসাবে এবং এক ধরনের প্রতিরোধ ও আত্মশক্তি বিকাশের ধারাবাহিকতার প্রতীক হিসাবেও। ইরান প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তরফে সামরিক ও রাজনৈতিক কৌশলকে থামানোর জন্য এবং পশ্চিমা বিশ্বের গণতন্ত্ররক্ষকদের ইশারা বা হস্তক্ষেপ কমানোর জন্য কৌশলগত যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে বলেই মনে হচ্ছে। আপাতত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত বন্ধ হলেও এখনো একটি প্রশ্ন অমীমাংসিত রয়ে গেছে, আর তা হলো গাজা। সেখানে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চলকালেই প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০ জনকে হত্যা করছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল-ইরানের যুদ্ধের ফলাফলে ইসরায়েলের গণহত্যা ও দখলদারিত্বের প্রবণতা কমবে বলে মনে করা হলেও তা হয়নি। ইসরায়েলের আগ্রাসী মনোভাব ও অব্যাহত গণহত্যার কারণে মধ্যপ্রাচ্য তথা বৃহত্তর পশ্চিম এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি অধরাই থেকে যাবে।
লেখক : কলাম লেখক, আন্তর্জাতিকবিষয়ক গবেষক, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট