আজ শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সমাবেশে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও জুলাই যোদ্ধা এম এস মুস্তাফিজুর রহমান বলেন— “জামায়াতে ইসলামীর প্রস্তাবিত পিআর (Proportional Representation) নির্বাচন ব্যবস্থা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে সক্ষম।”

তিনি বলেন, “আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাতে পেরেছি। আল্লাহ উত্তম সাহায্যকারী, না হলে আমাদের একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব হতো না।”

জুলাই ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১৯ জুলাই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এমনি এমনি নাকি বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ সেই সময় ফ্যাসিবাদী শিল্পপতিরা শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে বলেছিল, আন্দোলন দমন করতে তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ জালিমরা কখনও সফল হয় না।”

তিনি আরও বলেন, “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দমন করা হয়েছিল। সেই সময়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বুকের রক্ত দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষ এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল।”

বিশ্বজিৎ হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এক সময় শিবির অপবাদ দিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়েছিল। অথচ শিবির করা কোনো অপরাধ নয়, কোনো রাজনৈতিক দলে থাকা কোনো অপরাধ নয়।”

তিনি আরও বলেন, “বিগত সরকারগুলো যতগুলো নির্বাচন করেছে, তার একটিতেও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়নি। জামায়াতে ইসলামীর প্রস্তাবিত সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনই পারে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে।”

উল্লেখ্য, জামায়াতে ইসলামীর আজকের এই সমাবেশে সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, সকল গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন, শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এই প্রথমবারের মতো এককভাবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version